ডিম তো খান, জানেন কি এর খোসার ব্যবহার

অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম। এর জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিশেষ করে সকালের খাবারে অবশ্যই থাকছে ডিম। কিন্তু ডিম রেখে এর খোসা ফেলে দেয়া একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। জানেন কি এই ডিমের খোসা কত কাজের জিনিস!

রূপচর্চা থেকে গৃহস্থলির নানা কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমের খোসা। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক এর কয়েকটি আশ্চর্য ব্যবহার-

১. কফির তিতা স্বাদ কমাতে চান? তবে এই কফির সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়া এক চিমটে মিশিয়ে দিন। কফি গুলিয়ে নেওয়ার পর একটু সময় দিন যাতে ডিমের খোসার গুঁড়া থিতিয়ে নিচে পড়ে যায়। এবার খেয়ে দেখুন, কফির তিক্ত স্বাদ অনেকটাই কমে গেছে।

২. পোকার উপদ্রবে গাছ নষ্ট হচ্ছে? বাগানের চারপাশে, গাছের গোড়ায় গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়া করে ছড়িয়ে দিন। পোকা-মাকড় গাছের ধারে-কাছেও ঘেঁষবে না।

৩. ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর মিনারেল যা বাগানের মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ডিমের খোসা গুঁড়া করে বাগানের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

৪. একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে একটা বা দুটো ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এবার ওই প্যাক মুখমণ্ডলে ১৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রেখে উষ্ণ পানি দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন! এর ফলে ত্বকের কালচে ভাব কেটে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত! এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে (সপ্তাহে ২ বারের বেশি নয়), ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব!

৫. বাসন পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন ডিমের খোসা। বাসনের পোড়া, চটচটে দাগ খুব সহজেই উঠে যাবে।

৬. অনেক সময় রান্নাঘরের সিঙ্কে বা বেসিনের পাইপে ময়লা জমে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ডিমের খোসা খুব মিহি গুঁড়া করে সিঙ্কে বা বেসিনের ছাঁকনির মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর বেশি করে পানি ঢেলে দিন। দেখবেন পাইপের ময়লা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে।

৭. গিটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন কমাতে ডিমের খোসা অব্যর্থ! একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়া করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ অন্তত ২ থেকে ৩ দিন রেখে দিলে দেখবেন ডিমের খোসাগুলো ভিনিগারের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে মালিশ করুন। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনিগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।