♦নিশিন্দাসহ কিছু ভেষজের গুণাগুণ জেনে নিন।
_________________________________________
_________________________________________
আয়ুর্বেদশাস্ত্র প্রাচীনতম চিকিৎসা বিজ্ঞান,যুগ যুগ থেকেই প্রমাণিত যা আজ ভূলে গেলেও প্রতিদিন তিনবেলা খাবারেই অামরা খাচ্ছি সেই আয়ুর্বেদীয় উপাদান যেমন প্রতিটি তরকারী রান্নায় যে সব উপাদান ব্যবহার করা হয় -জিরা ৩ রকম, আদা,হলুদ,মরিচ,
তেজপাতা,দারুচিনি,লবঙ্গ,গোলমরিছ,
অাজৈন,কাবাবচিনি, ধনিয়া,জায়ফল,জত্রিক,এলাচী, অারো অনেক যা অামরা ব্যবহার রান্নাসহ বিভিন্ন হাতের তৈরী ঘরোয়া রান্নায় কিন্তু তা মনে থাকে না,, কিন্তু এসব শরীরে টকসিন বের করে প্রস্রাব ও মলের সাথে যকতের হজম ক্রিয়ায় যথেষ্ট সাহায্যে করে, এবং দেহের বিভিন্ন রক্ত চলাচলসহ যাবতীয় ক্রিয়া করে,, প্রতিটি ভেষজেরর কাজ হচ্ছে দেহের দূর্বল স্থানে প্রবেশ করে সতেজ করা যাহা সৃষ্টিকর্তারই দান মানবদেহের জন্য তাই অায়ুর্বেদ চিকিৎসা অাদিও আসল।প্রত্যেকটি ঔষধ কোম্পানী ঐ আয়ুর্বেদশাস্ত্রের ৪ টি পদার্থের সংমিশ্রণে ঔষধ তৈয়ার করে থাকে,, ভেষজ ছাড়া সব সব চিকিৎসা অচল,, তাই আজ নিশিন্দা গাছের যোগিক নিয়ে অালোচনা নয়, প্রত্যেক ভেষজই গুণাগুণ অপরিসীম।
করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে অারো কিছু যৌগিক আছে যেমন - গোময়,গোমূত্র, গর্জন গাছ থেকে যে আঠা বের হয় সেটি দুপ তৈরী হয় তাহা জ্বালিয়ে ধোঁয়া দেহের ভাইরাস ধ্বংস করে শরীরে প্রবেশ করলে মানুষ স্বস্থি নিঃশ্বাস পাই,সুগন্ধি বটে, গোবর,গোমুত্র মিশ্রণ করে বাড়ীর চারপাশে দিলে তাতেই অশুভশক্তি, ভাইরাস ধ্বংস হওয়া সম্ভবনা রয়েছে, এছাড়া - তুলসীপাতা এটা এন্টি হিষ্টামিন হিসেবে শরীরের অপবায়ু বের করে, এবং ধূলা ময়লা বের করে, অাদার রস,তুলসীপাতা,মধু,কাঁচা হলুদের রস এন্টি ভাইরাস বের শরীর থেকে।
♦ নিশিন্দা গাছের যত গুনাগুন রয়েছে। নিশিন্দা এক প্রকার ছোট পর্নমোচী উদ্ভিদ (প্রতি বছর পাতা ঝরে যায়)। এটি গুল্ম এবং বৃক্ষের সংকর বলা য়ায়। নিশিন্দার ইংরেজি নামঃ Chaste Tree । বৈজ্ঞানিক নামঃ Vitex negundo Linn ।
#এরা পাঁচ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা বিশিষ্ট হতে পারে। ঘন শাখা-প্রশাখা থাকে। ২ মি. থেকে ৫মি. পর্যন্ত লম্বা বৃন্তবিশিষ্ট যৌগিক পত্রের ৩/৫টি পত্রক থাকে। পত্রকগুলি অসমান ও ফুল নীলাভ ও বেগুন। পেনিকল ৩০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। ফল ছোট ডিম্বাকৃতির ও ড্রুপ। ছোট পর্নমোচী ( প্রতি বছর পাতা ঝরে যায়) উদ্ভিদ।
♦প্রাপ্তি স্থানঃ সমুদ্রের পাশে ভাল জন্মে। তবে বাংলাদেশ প্রায় সর্বত্র এই গাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
♦রাসায়নিক বিশ্লেষণ: Flavonoids , alkaloids , diterpenoids , vitexin , casticin এবং steroidal হরমোন প্রিকার্সর Vitex Agnus-castus এর রাসায়নিক উপস্থিতি সনাক্ত করা হয়েছে.
♦ঔষধি গুণাগুণ
#নিশিন্দার পাতা পরজীবী নাশক এবং এর যক্ষা ও ক্যান্সারবিরোধী গুণ রয়েছে।
#নিশিন্দার পাতা পরজীবী নাশক এবং এর যক্ষা ও ক্যান্সারবিরোধী গুণ রয়েছে।
#পাতা গরম করে যে কোনো ফোলার উপর বা মচকানোর ব্যথা ও প্রদাহ স্থানে রেখে গরম কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়ে দিনে ৪/৫ বার বদলাবেন। এতে দুএকদিনের মধ্যে ফোলা কমে যাবে।
#দেহের যে কোনো স্থানের টিউমারে নিশিন্দা পাতা বেটে গরম করে প্রতিদিন লাগালে কয়েকদিনের মধ্যে টিউমার অদৃশ্য হয়ে যাবে।
#পাতার রস বা পাতা বেটে সরিষার তেলে পাক করে সে তেল ২/১ ফোঁটা কানে দিলে কানের রোগ আরোগ্য হয়। কানের সব ধরণের ব্যথায় ক্ষতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
#পাতা চূর্ণ সিকি গ্রাম পরিমাণ খেলে (পূণবয়স্কদের জন্য) গুঁড়া কৃমির উপদ্রব কমে যায়।
#নিশিন্দা গেঁটে বাত সারায় (Ghani, 2003), গেটে বাত (Gout) রোগে নিশিন্দার পাঁচন মোক্ষম ওষুধ। সঙ্গে যদি জ্বর থকে, তবুও এতে সুফল পাওয়া যাবে। ৫ গ্রাম পরিমাণ পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে সে পানি খেতে হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খাওয়া ঠিক নয়।)
এছাড়া এটা হাপানি , ঠান্ডা জনিত রোগেও বিশেষ কার্যকরী। গাছের ডাল পালা পোকামাকড় রোধী । যৌন ইচ্ছা দমনের জন্য আগে নিশিন্দা ব্যবহৃত হতো।
0 Comments