জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল


জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। বহু বছর আগে থেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পিল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ওজন বৃদ্ধি, ব্রেস্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকে পিল খেতে ভয় পান। আশার কথা হলো, বর্তমানে ব্যবহৃত পিলে এসব সমস্যা হয় না বললেই চলে।

পিল খাবারের পদ্ধতিটি মোটামুটি সবাই জানে। এক পাতাতে সাধারণত ৩০টি পিল থাকে। এর মধ্যে প্রথম ২১টিতে থাকে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন এবং বাকি ৭টিতে কোনো হরমোন থাকে না, থাকে আয়রন। পিল ডিম্বাণুর পরিস্ফুটনে বাধা দেয়। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।

পিলের সুবিধাসমূহজন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পিলের নানা সুবিধা রয়েছে। যেমন­
অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিতকরণে।
বাড়তি পিল গ্রহণের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডবিহীন ছুটি কাটাতে পারেন অথবা রমজান মাসে টানা একমাস রোজা রাখতে পারেন।
তলপেটের প্রদাহ, ব্রেস্টের কিছু রোগ, সিস্ট ইত্যাদি পিল গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়।
ডম্বাশয় ও ইউটেরাসের বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে পিল সহায়তা প্রদান করে।

  • পিলের অসুবিধা
  • বমি বমি ভাব।
  • মাথাব্যথা।
  • ব্রেস্টে ব্যথা।
  • ওজন বৃদ্ধি।
  • পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া।
  • পিরিয়ডবিহীন ব্লিডিং।
  • বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন।
  • টেনশন।
  • শারীরিক মিলনুয়াল আগ্রহ কমে যাওয়া।
প্রতিদিন একই সময় খেতে হয়।

বিশেষ কিছু ঝুঁকিযেসব মহিলার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন আছে এবং যারা কিছুটা স্থুলকায়, তাদের ক্ষেত্রে খাবার পিল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রমাণিত না হলেও ধারণা করা হয়, ব্রেস্ট ক্যান্সার কিংবা জরায়ু মুখের ক্যান্সার সৃষ্টিতে পিলের পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে।

মিনি পিলএ পিলে শুধু প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন ব্যবহার করা হয়। যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তারা মিনি পিল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও যারা ইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ পিল খেতে পারেন না, তারাও মিনি পিল খেতে পারেন।

পিল খেতে ভুলে গেলে কী করবেনএকটি বা দুটি পিল খেতে ভুলে গেলে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি পিল খাবেন। একই সঙ্গে সেদিনের নিয়মিত পিল যথাসময়ে খাবেন। পরপর তিনদিন ভুলে গেলে জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো পদ্ধতি যেমন­প্রোটেকশন ব্যবহার করবেন এবং পিরিয়ড না হওয়া পর্যন্ত বাকি পিল খেয়ে যাবেন।

===================
অন্য পোস্টে পিল সংক্রান্ত কিছু মন্তব্য এখানে সংযোজন করা হলোঃ
১. পিল খাওয়ার একটা নিয়ম আছে। মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকে বা ৫ দিন পর থেকে খাওয়া শুরু করতে হয়। আবার এটার কার্যকারিতা শুরু হতে সপ্তাহ খানেক লাগে। তাই এই এক সপ্তাহ অন্য একটা প্রোটেকশনও (যেমন প্রোটেকশন) ব্যবহার করতে হবে রিক্স এড়াতে। যদি লংটার্ম খেতে চান তাহলে এভাবেই শুরু করতে হয়। কিন্তু আপনার স্বামী যদি অল্প কয়েকদিনের জন্য আসেন, তাহল পিল একটা ভালো পদ্ধতি নয়। এক্ষেত্রে প্রোটেকশনই ভালো।

২. নিয়মিত মাসিক হলে আর ২৮ দিনের প্যাকেট হলে, মাসিক শুরুর দিন থেকে শুরু করতে পারেন। প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে কোনটা দিয়ে শুরু করতে হবে এবং তারপর কোনটা খেতে হবে। তীর আঁকা থাকে।
আর একটু অনিয়মিত হলে মানে ধরেন ২/৪ দিন এদিক-ওদিক হলে মাসিক শুরু হওয়ার পর ৫ম দিন থেকে শুরু করবেন। রঙিন ২১টা পিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাকি ৭টা শুধু খাওয়ার অভ্যাস ঠিক রাখার জন্য। প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে। কোনদিন মিস হয়ে গেলে মনে পড়ার সাথে সাথেই খেতে হবে, এবং পরের দিনেরটা ঠিক সময়ে খেতে হবে। ধরুন, আপনি প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খান। ধরুন, আজ রাতে মিস হয়ে গেল। কাল সকালে মনে পড়ল। তাহলে সকালে আগেরদিনেরটা খেয়ে নিবেন, এবং রাতে ঐ একই সময়ে সেই দিনেরটাও খেতে হবে।
তবে শুরু করার প্রথম ১ সপ্তাহ পিলের সাথে প্রোটেকশন চালিয়ে যাওয়া উচিত।

Post a Comment

0 Comments