সাধারণ হেলেঞ্চা শাকের অসাধারণ উপকারীতা

সাধারণ হেলেঞ্চা শাকের অসাধারণ উপকারীতা


সাধারণ হেলেঞ্চা শাকের অসাধারণ উপকারীতা  হেলেঞ্চা শাকের অসাধারণ উপকারীতাহেলেঞ্চা শাক আমাদের অনেকের পরিচিত একটি শাক। আমাদের দেশে প্রচলিত শাকের মধ্যে এটি খুবই সহজলভ্য । এটি চাষ করতে হয় না। পুকুরের ধারে ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে এটি প্রচুর জন্মে। এটি দেখতে অনেকটা মালঞ্চ শাকের মতো হলেও এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা এবং হালকা তিতা স্বাদ যুক্ত। এটি দেখতে খুব সাধারণ হলেও এতে বেশ উচ্চ মাত্রায় পুষ্টিগুণ রয়েছে। আসুন জেনে নিই হেলেঞ্চা শাকের পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারীতা সম্পর্কে।



হেলেঞ্চা শাকের অসাধারণ উপকারীতাহেলেঞ্চা শাক আমাদের অনেকের পরিচিত একটি শাক। আমাদের দেশে প্রচলিত শাকের মধ্যে এটি খুবই সহজলভ্য । এটি চাষ করতে হয় না। পুকুরের ধারে ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে এটি প্রচুর জন্মে। এটি দেখতে অনেকটা মালঞ্চ শাকের মতো হলেও এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা এবং হালকা তিতা স্বাদ যুক্ত। এটি দেখতে খুব সাধারণ হলেও এতে বেশ উচ্চ মাত্রায় পুষ্টিগুণ রয়েছে। আসুন জেনে নিই হেলেঞ্চা শাকের পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারীতা সম্পর্কে।

পুষ্টিগুণঃ

খুব সাধারণ এবং সহজলভ্য এই শাকটি কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম হেলেঞ্চা শাকে ২.৯ ভাগ প্রোটিন, ০.২ ভাগ ফ্যাট, ৫.৫ ভাগ শর্করা, এবং ২.২ ভাগ লবণ আছে। এছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ, জলীয় দ্রবণ, বিভিন্ন খনিজ উপাদান আছে। এসব উপাদান আমাদের দেহে বিভিন্ন ভাবে উপকার করে থাকে।

উপকারীতাঃ

১। আপনি যদি সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন তাহলে এই অস্বস্তিকর সর্দি-কাশি থেকে রেহাই দিতে পারে হেলেঞ্চা শাক। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের সর্দি-কাশি কমায় এবং একই সাথে এটি আমাদের জমে থাকা কফ নরম করে বের করে দেয়। এছাড়াও জ্বর হলে এই শাক খেলে অনেক তাড়াতাড়ি জ্বর সেরে যায় এবং শরীর ফুরফুরে হয়ে ওঠে।২। আপনার সারা শরীর যদি ব্যাথায় ছেয়ে যায় কিংবা আপনি বাতের ব্যাথায় কষ্ট পেতে থাকেন তাহলে হেলেঞ্চা শাক হতে পারে আপনার জন্য অনেক কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। হেলেঞ্চা শাকে থাকা বেশ কিছু রাসায়ানিক উপাদান এবং হালকা তিতা স্বাদ হওয়ায় এই শাক খেলে আমাদের শরীরের যেকোনো ব্যাথা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়।৩। অনেক সময় আমাদের মুখ দিয়ে গরম ভাপ বের হয় কিংবা মুখ অথবা চোখ জ্বালা-পোড়া করতে থাকে। বিশেষ করে গরমের সময় এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানে হেলেঞ্চা শাক অনেক উপকারী। এটি খেলে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং জ্বালা-পোড়া ভাব কমবে।৪। অনেকের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলে কোমর বা দুই পা ফুলে যায় । অনেক সময় ব্যাথা হয় কিংবা অসাড় মনে হয়। নিয়মিত হেলেঞ্চা শাক খেলে এটি অনেক কমে আসে। একই সাথে আমাদের কোমরের জয়েন্টের ব্যাথা কমাতে এই শাক অনেক উপকারী।৫। অনেক সময় আমাদের জিবে সাদা রঙের একটা স্তর পড়ে। এর ফলে জিব ভারি ভারি মনে হয় এবং খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না। এসময় হেলেঞ্চা শাক খেলে জিবের এই স্তর চলে । ফলে খাবারের রুচি ফিরে আসে। একই সাথে এই শাক আমাদের অন্ত্রের ক্রিমি বিনাশ করে।

Post a Comment

0 Comments