কেন খাবেন পালং শাক?
পালংশাক অতি পরিচিত একটি শাক। বাংলাদেশে অনেক ধরনের শাক আছে তারমধ্যে পালংশাক অন্যতম। সব শাকেরই কিছু আলাদা আলাদা গুলাবলি রয়েছে। তবে পালংশাকের কিছু অসাধারণ গুণাবলি রয়েছে ।
শাক সবজির ভেতর পালংশাক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর সমৃদ্ধ। এটি ভাজি কিংবা রান্না করে খাওয়া যায়। সুলভে পাওয়া সুস্বাদু এই শাকের রয়েছে নানা ধরণের কঠিন রোগ সারানোর কার্যকরি গুণ।
নানারকম অসুখ বিসুখ থেকে দূরে থাকতে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই সবুজ শাকটি। পালংশাকে রযেছে প্রয়োজনীয় ”ভিটামিন এ, কে, সি, ই“।
সেই সাথে আরও আছে খাদ্য আঁশ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ফলিক এসিড ও সেলেনিয়াম। এছাড়াও আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট।
এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য অপরিহার্য। সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত পালংশাক খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা যায় শাক খেলে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন পালংশাক।
আসুন জেনে নেই পালংশাক-এর স্বাস্থ্যকর কিছু গুণাগুণ সম্পর্কে-
দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করেঃ
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। এই সব ভিটামিন দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কিডনির পাথর নিরাময়েঃ
পালংশাক কিডনিতে পাথর থাকলে ,তা গুড়ো করতে সাহায্য করে। তাছাড়া পেট পরিষ্কার করতে এর গুণাবলি অপরিহার্য। এটি আমাদের দেহ ঠাণ্ডা ও স্নিগ্ধ রাখতে সাহায্য করে।
কোলন কোষ রক্ষা করেঃ
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিটা কেরোটিন যা আমাদের শরীরের কোলন কোষগুলোকে রক্ষা করে।
রক্ত স্বল্পতা দূর করেঃ
পালংশাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন ‘সি’ থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রেনের সুস্থতায় কাজ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ
পালংশাকে প্রায় ১৩ প্রকার ফাভোনয়েডস আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
মানুষের শরীরে নানা ধরনের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল।
তাহলে এখন থেকে শরীরের সুস্থতার জন্য হলেও প্রতিদিন একবার করে হলেও খাবার গ্রহনের সময় পালংশাক খান আর সুস্থ থাকুন।
0 Comments