যোনির ভিতরের চুলকানি
সহজেই যোনিপট্ট বা ক্লিটোরিস এবং তার আশপাশের ত্বকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যাঁদের যোনিকেশ একটু বেশি ঘন, তাঁদের যৌনাঙ্গের উপরে অর্থাৎ ভালভায় ঘাম হয় বেশি। এর ফলে চুলকানির তীব্রতা অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে।যে ৭টি কারণে হয়ে থাকে—* ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস হল যোনিতে চুলকানি হওয়ার একটি প্রধান কারণ। যোনিরসের পিএইচ ব্যালান্সের তারতম্য এবং যোনিতে গুড ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে গেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।* ইস্ট ইনফেকশনের ফলে চুলকানি হয়। সঙ্গে যোনি থেকে অল্প অল্প ডিসচার্জও হতে পারে। যৌনতা, স্ট্রেস, খাবারের অভ্যাসের বদল ইত্যাদি কারণে এই ইনফেকশন হতে পারে।* কনট্যাক্ট ডার্মেটাইটিস হল এক ধরনের অ্যালার্জি যা কন্ডোম, লুব্রিক্যান্ট, পারফিউম বা কোনও কসমেটিক ব্যবহারের দরুণ যোনিতে ইরিটেশন তৈরি করে এবং ইচিং হয়।* এগজিমা বা সরাইসিস হল এক ধরনের জেনেটিক স্কিন ডিসঅর্ডার। এর ফলে চুলকানি তো হয়ই, সঙ্গে র্যাশও হয়।* যে কোনও ধরনের এসটিডি বা যৌন সংসর্গের ফলে সংক্রামিত রোগ যেমন ক্ল্যামিডিয়া, হার্পিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস এবং গনোরিয়ায় যোনি আক্রান্ত হলে প্রথম লক্ষণ অবশ্যই চুলকানি।* লিচেন স্ক্লেরোসাস হল এমন একটি রোগ যার ফলে যোনির ঠিক উপরের দু’টি স্ফীত অংশ বা ভালভা-তে চুলকানি হয়। এটি আপনা থেকেই হতে পারে। প্রধানত হরমোনের কারণে হয়।* যে কোনও সময়ে শরীরে হরমোনের তারতম্যের ফলে যোনির অভ্যন্তরে চুলকানি হতে পারে। বিশেষ করে পিরিয়ড, প্রেগনেন্সি বা মেনোপজের জন্য তো হয়ই, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল নিয়মিত খাওয়ার ফলেও যৌনাঙ্গে চুলকানির অনুভূতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।যে কারণেই হোক না কেন, যোনির ভিতরে চুলকানি মেয়েদের কাছে অত্যন্ত কষ্টদায়ক একটি বিষয়। তবে এমন কিছু হলে যৌনমিলন বন্ধ রাখা উচিত। নাহলে সঙ্গীর পুরুষাঙ্গে ইনফেকশন ছড়াতে পারে।
0 Comments