দেখে নিন পোস্তদানার গুণাগুণ
রান্নায় স্বাদ আনা পোস্ত ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনে পূর্ণ। এছাড়াও এতে প্রচুর ফাইবার আর ফ্যাটি অ্যাসিড আছে।
আসুন দেখা যাক পোস্তদানার সেরকমই কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
হাড় ক্ষয়রোধ করে:
পোস্তদানা ক্যালসিয়াম আর ফসফরাস থাকায় হাড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে। জয়েন্ট পেইন বা হাড় ফুলে গেলে তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়ার জন্য পোস্ত বাটা লাগান।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে শুকনো ভাতের সঙ্গে পোস্ত বাটা খান।
মুখের আলসার রোধ করে:
আয়ুর্বেদে এমনটাই মানা হয়। যখন শরীরে খুব গরম বেড়ে যায় তখন মুখে আলসার বা ঘা হয়। পোস্তদানা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এর ফলে মুখের আলসার হয় না। পোস্ত বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে মুখের আলসার থেকে হওয়া ব্যথায় তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়া যাবে।
ঘুমাতে সাহায্য করে:
যাদের ইনসমনিয়া আছে তারা পোস্ত বাটা আর চিনি মিশিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেলে অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে:
পোস্তদানায় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরল কমায়, ফলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকে। হার্ট ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক রোধ করতে রোজ ডায়েটে অল্প করে হলেও পোস্ত রাখুন।
স্কিন ডিজিজ হতে দেয় না:
বিভিন্ন রকমের স্কিন ডিজিজ যেমন, চুলকানি বা র্যাশে ন্যাচারাল রেমিডির কাজ করে পোস্ত। গাঢ় করে পোস্ত বাটার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। ভাল করে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘটায়:
পোস্তদানায় ক্যালসিয়াম, আয়রন আর কপার থাকায় ব্রেনের কর্মক্ষমতায় উন্নতি ঘটায়।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকায় শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়।
0 Comments