লক্ষীর এই মন্ত্র ১২ বার উচ্চারণ করলেই লক্ষ্মী দেবী হবেন প্রসন্ন, হবে ঋনমুক্তি-সনাতনী পদ্ধতি

কথিত আছে লক্ষীর এই মন্ত্র ১২ বার উচ্চারণ করলেই লক্ষ্মী দেবী হবেন প্রসন্ন, হবে ঋনমুক্তি-সনাতনী পদ্ধতি



লক্ষীর এই মন্ত্র ১২ বার উচ্চারণ করলেই লক্ষ্মী দেবী হবেন প্রসন্ন, হবে ঋনমুক্তি-সনাতনী পদ্ধতি


বাংলার ঘরে ঘরে বৃহস্পতিবার হল সাপ্তাহিক লক্ষ্মী আরাধনার দিন। বাংলায় বৃহস্পতিবারকে বলা হয় লক্ষ্মীবার। এই দিন লক্ষ্মীপূজা করলে হৃদয়ে ও গৃহে চঞ্চলা লক্ষ্মী হন অচলা। কিন্তু আজকের কর্মব্যস্ত জীবনে শুদ্ধ আচারে অথচ সহজে লক্ষ্মীপূজা করবেন কিভাবে? প্রচলিত কিছু আচার অনুষ্ঠানের ধরন ও পন্থা অবলম্বন করুন, দেখবেন দেবী তুষ্ট হবেন।

ঋণের ভারে অনেকেই বিপর্যস্ত৷ তার উপর লকডাউনে আরও দুর্বিসহ পরিস্থিতি৷ এহেন অবস্থায় একমাত্র অর্থাগমই ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে৷ জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মোক্ষম উপায় দেবী লক্ষ্মীর শরণাপন্ন হওয়া৷ ঋণমুক্তির জন্য লক্ষ্মী স্তোত্র অত্যন্ত শুভ ফল দেয়৷লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে হলে প্রতিদিন স্নান করে পদ্মবীজের মালা হাতে গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে খুবই ভাল ফল হয়৷লক্ষ্মীর দক্ষিণাবর্ত শাঁখ রাখার নিয়ম আছে৷

রুপো বা মাটির পাত্রে এই শাঁখ রাখতে হয়৷ লক্ষীদেবীর আশির্বাদ পাওয়া যায়৷ঋণে জর্জরিত? সে ক্ষেত্রেও একটি উপায়ে লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে পারলে ঋণমুক্তি ঘটে৷ তা হল টানা ১২ দিন ধরে ভক্তির সঙ্গে লক্ষীর দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে ঋণের হাত থেকে মুক্তি মেলে৷

১। প্রতিদিন স্নান করে শুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন। এই মন্ত্র জপ করার সময় পদ্মবীজের মালা ব্যবহার করলে ভাল হয়।

২। দক্ষিণাবর্ত শঙ্খকে বলা হয় মা লক্ষ্মীর শঙ্খ। লাল, সাদা বা হলুদ রংয়ের একটি পরিষ্কার কাপড়, একটি রুপোর পাত্র অথবা মাটির পাত্রের উপর রাখতে হয় এই শঙ্খ। এই শঙ্খের মধ্য দিয়েই বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রবাহিত হয়।

৩। বলা হয়, সমস্ত দেবতা বাস করেন তুলসী গাছে। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, দেবী তুলসী হলেন মা লক্ষ্মীরই এক রূপ। তাই বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে এবং সেখানে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বাললে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী।

৪। টানা ১২ দিন ধরে ভক্তিভরে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে ঋণমুক্তি ঘটে।

৫। একটি বাঁশের বাঁশিকে সিল্কের কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন কারণ বাঁশি হল বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। তাই তা মা লক্ষ্মীরও অতি প্রিয়।

৬। শুধুমাত্র পুজোর দিনে নয়, প্রতিদিনই যদি দেবীর পায়ের চিহ্ন আঁকা হয়, তবে ভাল। প্রতিদিন না পারলে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার এবং মা লক্ষ্মীর পুজোর তিথি থাকলে তো অবশ্যই।

৭। প্রতি শুক্রবার পদ্মমূল থেকে তৈরি নয়টি সলতে দিয়ে একটি মাটির প্রদীপ মা লক্ষ্মীর পট বা প্রতিমার সামনে জ্বাললে তা গৃহে প্রাচুর্যের সমাহার ঘটায়।

৮। প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা খুবই ভাল। এর সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন দেবী।

৯। ঠাকুরঘরে বা ঠাকুরের সিংহাসনে কড়ি এবং শঙ্খ রাখা খুবই শুভ বাড়ির কল্যাণের জন্য।

Post a Comment

0 Comments