পেট্রোল ডিজেল নয়, মদ দিয়ে চলবে এই বাইক
পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ওষ্ঠাগত প্রাণ । জ্বালানির ঠেলায় রীতিমতো ধুঁকছে মধ্যবিত্ত । এমন অবস্থায় বাহনটি যদি মহামূল্যবান জ্বালানির পরিবর্তে অন্য কিছুতে চলে তাহলে কেমন হয় ? মন্দ হয় না । না, জৈব বা নবীকরণযোগ্য কোনও জ্বালানির কথা হচ্ছে না । কথা হচ্ছে এমন এক বাইকের যেটা কিনা চলবে অ্যালকোহল জাতীয় বর্জ্যপদার্থে । এমনই এক বাইক আবিষ্কার করে ফেলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টনার ৪১ বছরের ব্যবসায়ী রায়ান মন্টেগোমারি ।
এই সেই বাইক
বছরখানেক আগে একটি পরিত্যক্ত ফাঁকা মাঠে বিকল অবস্থায় ইয়ামহার XS650 মডেলের বাইকটি খুঁজে পান রায়ান । সেখান থেকে তিনি বাইকটিকে নিয়ে যান নিজের বাড়িতে । আসলে ৪১ বছর বয়সি রায়ান উৎকৃষ্ট মানের মদ প্রস্তুতকারক । তিনি খুব ভাল করেই জানতেন ভদকা তৈরির পর যে বর্জ্য পদার্থ অবশিষ্ট থাকে তা জ্বালানি হিসেবে খুব ভাল কাজে লাগতে পারে ।
বাইকটি পাওয়ার পর সেই বর্জ্য পদার্থকে কাজে লাগানোর ছক খেলে যায় রায়ানের মাথায় । দীর্ঘ একবছরের পড়াশোনা এবং পরিশ্রমের পর তিনি এমন একটা বাইক তৈরি করে ফেললেন যেটি কিনা ওই ‘অ্যালকোহলিক ওয়েস্ট’ অর্থাৎ ভদকার বর্জ্য পদার্থে চলে ।
বাইকটি পাওয়ার পর সেই বর্জ্য পদার্থকে কাজে লাগানোর ছক খেলে যায় রায়ানের মাথায় । দীর্ঘ একবছরের পড়াশোনা এবং পরিশ্রমের পর তিনি এমন একটা বাইক তৈরি করে ফেললেন যেটি কিনা ওই ‘অ্যালকোহলিক ওয়েস্ট’ অর্থাৎ ভদকার বর্জ্য পদার্থে চলে ।
রায়ান যে বর্জ্য পদার্থ দিয়ে বাইকটি চালিয়েছেন তাঁকে বলা হয় ‘হেড’ । আর এই ‘হেড’ নামের তরলটি পানের অযোগ্য, কিন্তু জ্বালানি হিসেবে অসাধারণ । তাই কম খরচে বাইকটি চালাতে পারেন রায়ান । তিনি বাইকটির নাম দিয়েছেন ‘সাডেন ওয়াইজডম’ ।
মজার ব্যাপার হল এই বাইকটি চলেও দুর্দান্ত গতিতে । বাইকটি ঘণ্টায় গড়ে ১১৩ কিমি গতিতে চলে । যা রীতিমতো রেকর্ড । তিনদিনের জন্য নাকি এটি বিশ্ব রেকর্ডও করেছিল । তাহলেই বুঝুন, কী অবাক আবিষ্কার রায়ানের । যদিও, তিনি এখনও এই বাইকের পেটেন্ট চেয়ে আবেদন করেননি ।
Friends if you like this post,kindly comment bellow and do share your responce.Thank You for Visiting
0 Comments