এক ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতা দিবস হোক প্রতিদিন
--- সুব্রত পাল
Shadhinota Dibosh Vason |Shadhinota Dibosh Speech
স্বাধীনতা দিবস হোক প্রতিদিন Shadhinota Dibosh Vason |Shadhinota Dibosh Speech | ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস
" হে আমার ভারতবর্ষ,হে আমার মাতৃভূমি তোমার চরণে ঠেকায় মাথা ,
তুমিই শ্রেষ্ঠ,তুমিই গর্ব,তুমিই মহান,সে কথা আমাদের বুকে গাঁথা।
আমার সম্মানীয় দেশবাসী ,আমার সম্মানীয় মা,ভাই-বোনেরা আমার তরফ থেকে আন্তরীক ভালোবাসা ,প্রণাম ও সম্মানের সহিত হার্দিক অভিনন্দন আপনাদের সকলকে ।হু অপেক্ষার পর ,বহু সংগ্রামের পর আজকের এই দিন টি বার বার ফিরে আসে এবং তা যেন আসুক শতকোটি বার। আজকের এই দিন সমগ্র ভারতবাসীর গর্বের ,সমগ্র জাতির গর্বের। কারণ আজ আমাদের মাতৃভূমির জন্মদিন। আমি গর্বিত একজন ভারতবাসী হিসাবে,আমি গর্বিত একজন দেশের প্রতিনিধি হয়ে,আমি গর্বিত এই মাতৃভূমির জন্য।জাত,পাত ,ধর্ম,নির্বিশেষে সকল মানুষের এই স্বাধীনতা দিবস। এই স্বাধীনতা যেন মুক্তির ,এই স্বাধীনতা যেন সংগ্রামের ,এই স্বাধীনতা যেন বদলার।
আজ এই ঐতিহাসিক স্বাধীনতা দিবসে আমরা সকলেই যেন গর্বিত ওআনন্দিত। মায়ের পদ তলে তাইতো মোরা শ্রেষ্ঠ।সারা পৃথিবীর মানুষ আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে ,সারা পৃথিবীর মানুষ আজ ভারতের অনুকরণে ,কেননা আজ আমরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে প্রমান করেছি ,হয়ে উঠেছি এক উদাহরণ।আমরা ইতিহাস পড়েছি আর বারবার দেখেছি ভারত হলো বৈচিত্র্যের মধ্যে এক ঐক্য দেশ। আর আমাদের মতো এতো বৈচিত্র্য এবং ঐক্য আর কোনো দেশে পাবেন না।এটাই আমাদের ভারতবর্ষ। আমাদের একটাই মন্ত্র নানা ভাষা,নানা মত,নানা পরিধান,বিবিধের মাঝে দেখো মিলনও মহান।আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী,আমরা একতায় বিশ্বাসী ,আমরা সম্পর্কে বিশ্বাসী।
আমি সম্মান জানাচ্ছি সেইসব ভারত মাতার বীর সৈনিকদের যাঁদের রক্তে এই স্বাধীনতা ,আমি সম্মান জানাচ্ছি সেইসব সৈনিকদের পরিবার বর্গদের যাঁদের বীরেরা এই দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন। তাঁদের সমিল্লিত একান্তিক প্রচেষ্টার ফসল হলো এই ভারতমাতা। তাই জীবন দিয়েও আমরা সকলে মিলে এই দেশকে আগলে রাখবো আসুক না যতই বাধা। আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে দেশের হয়ে লড়তে হবে এবং ভারত মাতাকে জয়ী করতে হবে । আজ আমরা ভারত নই ,আজ আমাদের সকলের একান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আধুনিক ভারতে পরিবর্তিত হয়েছি। আমরা আজ সৃষ্টির নেপথ্যে ,আমরা আজ প্রগতির স্বার্থে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি আমরাই পারি অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমি কথা দিচ্ছি আরো এই রকম অনেক অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলবো দেশ কে উন্নতির শিখরে তুলতে। গোটা বিশ্বের প্রথম সাঁরিতে থাকবে আমার ভারত এই আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। খাদ্য ,অন্ন ,বাসস্থান এই তিন হলো আমার প্রধান সংকল্প। আর তিন সংকল্প আমি প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে যথেষ্ট পরিমানে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা যেন সকলে সকলের তরে ,কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক নতুন ভারত গড়তে পারি এই হোক এক অবিচল স্বীদ্ধান্ত। এই ভারত রবীন্দ্রনাথের ,এই ভারত কাজী নজরুলের ,এই ভারত বিদ্যাসাগরের ,তাই এই পবিত্র জায়গায় আমরা সকলে পবিত্র হয়ে পবিত্র কিছু করতে চাই। আমাদের ভারতবর্ষ সম্মানীয় আব্দুল কালাম স্যারের। তাই তাঁকে আমরা কিছু করে দেখাতে চাই। জাত ,পাত ,ধর্ম ,বর্ণ। ভেদাভেদ ভুলে আমরা প্রমাণ করে দেবো একটা সৎ চিন্তাধারা থাকলে ,একটা সৎ কাজ করতে চাইলে যে কোনো বিপ্লবে সামিল হওয়া যায়।
আমি অনুরোধ করছি সকল ছাত্র ছাত্রী দের, তোমরা সঠিক ভাবে পড়াশুনা করে দেশের জন্য কিছু করে দেখাও। আমি তোমাদের পাশে আছি। তোমাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার আমি করবো। তোমরা শুধু মন দিয়ে পড়াশুনা করে ভারতমাতার মুখ উজ্জ্বল করো। আমি দেশের ছেলেদের দেশের কাজে লাগিয়ে এ দেশেই সোনার ফসল ফলাতে চাই ,এক নতুন ভারত গড়ে বিশ্ববাসীকে চমক দিতে চাই।আজ এই স্বাধীনতা দিবসে আমরা
সকলে শপথ নিতে চাই ভালো কিছু করে দেখাবার ,ভালো কিছু চিন্তার তবেই সার্থক হবে আমাদের এই অর্জিত স্বাধীনতা। একটা কথা মনে রাখবেন আমি কোনো ব্যাক্তিগত মানুষের প্রধানমন্ত্রী নই ,আমি কোনো গোষ্ঠীর প্রধানমন্ত্রী নই ,আমি এই ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাই দেশের যেকোন ধরণের ভালো কিছুর জন্য আমি দায়বদ্ধ। আমি সর্বদা জাগ্রত ও প্রস্তুত । আগামী দিনের জন্য আমি বেশ কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছি আমার দেশের জন্য। সেগুলো আমি এক এক করে বাস্তবায়িত করতে চাই। আমি শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চাই। আমি এমন শিক্ষা চাই যেখানে মানুষ শিক্ষাকে বহন করবে না ,মানুষ শিক্ষাকে বাহন করবে। আর আমি বিশ্বাস করি শিক্ষাই পারে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ,শিক্ষাই পারে মানুষকে পথ দেখাতে। কারণ আমি জানি যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত ,সেই জাতি তত বেশি আধুনিক। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমি ভারতবর্ষকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে চাই ,আমি ভারতকে বদলে দিয়ে এক নতুন ভারত গড়তে চাই। আসুক না যতই বাধাবিপত্তি আমি আমার লক্ষে অবিচল। আমি দুর্নীতিমুক্ত ভারত চাই ,আমি শিক্ষিত ভারত চাই ,আমি সফল ভারত চাই। তবেই সার্থক হবে আমার স্বপ্ন।
হে মোর ভারতবাসী আপনারা হয়তো দেখেছেন আজ আমাদের দেশ সব দিক থেকে সামনের সাঁরিতে।সফলতা পেতে গেলে সৎ চিন্তাধারা আর কঠোর পরিশ্রম দরকার। আজ এই স্বাধীনতা দিবসে আমরা সকলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই ,বলো বলো সবে শত বিনা বেনু রবে ,ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে। আমি প্রতিটি মায়ের মুখে হাসি দেখতে চাই ,আমি প্রতিটি পিতাকে স্বচ্ছল ও নিশ্চিন্ত দেখতে চাই ,আমি প্রতিটি ভাই -বোনদের স্বনির্ভর ও শিক্ষিত দেখতে চাই। প্রতিটি ভারতবাসী আমার পরিবারের ,প্রতিটি ভারতবাসী আমার স্বপ্নের তাই তাঁদের উন্নতিতে আমি সর্বদা মগ্ন।
প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে মৌলিক সত্ত্বা আছে তা ফুটিয়ে তুলে উপযুক্ত কাজে লাগানো হলো আমার লক্ষ্য। আমি সর্বাগ্রে চেষ্টা করবো সকল ভারতবাসীকে সুখী করতে ,আনন্দে রাখতে। একটা দিন স্বাধীনতা দিবস পালন করে বড়ো বড়ো ভাষণ দিয়ে এই দিনকে স্মরণীয় করা যায় না। আমি চায় আমাদের ভারতবর্ষে প্রতিটি দিন হোক স্বাধীনতা দিবস। তবেই ধন্য হবে এই জীবন ,তবেই সার্থক হবে আমার প্রধানমন্ত্রীত্ব।মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরই লোক।
আজকের এই শুভদিনে আপনারা সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন। সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ”।
নমস্কার নমস্কার নমস্কার
---------------
YOU CAN ALSO SEARCH FOR- |
Friends if you like this post,kindly comment bellow and do share your responce.Thank You for Visiting
0 Comments