একরাশ ঝলমলে চুল কার না কাম্য। কিন্তু কখনো কখনো চুলই হয়ে ওঠে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার কারণ। কিন্তু খুব বেশি চুল পড়ে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। প্রোটিনের অভাব হলে চুলে নানামুখী সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য পরিচ্ছন্নতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই চুল ও মাথার ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। আর ঘরোয়া উপায়ে চুলের যতœ নিলে চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি চুল হবে ঘন কালো ঝলমলে। কী ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কিভাবে চুলের যত্ন নেবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
নারকেল : নারকেল চুলের জন্য অনেকভাবেই কার্যকর একটি উপাদান। এতে আছে ফ্যাট, মিনারেল প্রোটিন, পটাশিয়াম ও আয়রন। চুল ঝরে পড়া ও ড্যামেজ হওয়া থেকে মুক্তি পেতে নারকেল তেল ও নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। চুল, মসৃণ, ঝলমলে করতে হট অয়েল ট্রিটমেন্টের জুড়ি নেই। নারকেল কুরিয়ে ব্লেন্ড করে, নারকেলের দুধ বের করে তার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে এটি মাথার চুলে ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে দিন। এভাবে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। নারকেল তেলের হট অয়েল ম্যাসাজ সপ্তাহে একবার সব ধরনের চুলের জন্য উপযোগী।
পেঁয়াজের রস : পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। পেঁয়াজের রস চুল পড়া রোধ করে। রস নিংড়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি করে দেখতে পারেন। এতে চুল পড়া রোধ হবে, নতুন চুল গজাতেও পেঁয়াজের রস অত্যন্ত উপযোগী।
রসুন : রসুনের কয়েকটি কোষের খোসা ফেলে থেঁতো করে নিন। নারকেল তেল ও রসুন থেঁতো কিছুক্ষণ চুলায় গরম করুন। এটি ঠাণ্ডা হলে সারা মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে নেবেন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এটি করুন।
মেহেদি : মেহেদি চুলের পোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মজবুত করে। মেহেদি ও অন্যান্য উপাদান একসাথে একটি ভালো হেয়ার প্যাক তৈরি হয়।
২৫০ গ্রাম সরিষার তেলে ৬০ গ্রাম মেহেদির শুকনা পাতা দিয়ে তেল ভালো করে গরম করে ছেঁকে নিন। এই তেল নিয়মিত চুলের গোড়ায় ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এই তেলটি কাচের বোতলে ভরে রাখতে পারেন। আধাকাপ মেহেদি পাউডারের সাথে ১০০ গ্রাম টকদই মিশিয়ে সেটি মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। নানা রকম উপাদানের সাথে মেহেদি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
আমলকী ও শিকাকাই : আমলকী, শিকাকাই চুলের যতেœ ঔষধি হিসেবে কাজ করে। কাঁচা আমলকীর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। আধাকাপ মেহেদি বাটা, একটা ডিম, ১০০ গ্রাম টকদই, এক চামচ আমলকী, এক চামচ শিকাকাই মিশিয়ে সেটি মাথায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ডিম : ডিমের সাদা অংশের সাথে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় এবং চুলে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। দুই টেবিল চামচ মেহেদি বাটা, একটি ডিম, দুই টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। সব ধরনের চুলের যত্নে একটি ডিম ও দুই টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে চুলে দিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ডিম চুলের যত্নে ব্যবহার করা উচিত।
ফুল ও লতাপাতা : অনেকের চুল লাল হয়ে যায়। নারকেল তেলের মধ্যে কয়েকটি জবা ফুল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার ছেঁকে একটি বোতলে ভরে রাখুন। এই তেল ব্যবহারে চুল ঘন কালো ও মজবুত হবে। গাঁদা ফুলের ব্যবহারও ভীষণ উপকারী। চার-পাঁচটি শুকনো গাঁদা ফুল তিন কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। পরে ছেঁকে নিয়ে এটি চুলে ব্যবহার করুন। চুলের গোড়া শক্ত হওয়ার সাথে সাথে চুল খুশকিমুক্ত হবে।
কালোকেসুতি পাতা ও থানকুনি পাতা বাটা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় দিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। সবুজ কচি ঘাস ধুয়ে শুকিয়ে নারকেল তেলে দিয়ে এক মাস রোদে রেখে সেই তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে। মেথি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। এটি মাসে একবার করতে পারেন। নিয়মিত চুলে হেনা ট্রিটমেন্ট ও অয়েল ম্যাসাজ করুন। চুলের যত্নের সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি, প্রোটিন-জাতীয় খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল খান। এতে আপনার চুল সুন্দর থাকবে।
নারকেল : নারকেল চুলের জন্য অনেকভাবেই কার্যকর একটি উপাদান। এতে আছে ফ্যাট, মিনারেল প্রোটিন, পটাশিয়াম ও আয়রন। চুল ঝরে পড়া ও ড্যামেজ হওয়া থেকে মুক্তি পেতে নারকেল তেল ও নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। চুল, মসৃণ, ঝলমলে করতে হট অয়েল ট্রিটমেন্টের জুড়ি নেই। নারকেল কুরিয়ে ব্লেন্ড করে, নারকেলের দুধ বের করে তার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে এটি মাথার চুলে ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে দিন। এভাবে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। নারকেল তেলের হট অয়েল ম্যাসাজ সপ্তাহে একবার সব ধরনের চুলের জন্য উপযোগী।
পেঁয়াজের রস : পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। পেঁয়াজের রস চুল পড়া রোধ করে। রস নিংড়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি করে দেখতে পারেন। এতে চুল পড়া রোধ হবে, নতুন চুল গজাতেও পেঁয়াজের রস অত্যন্ত উপযোগী।
রসুন : রসুনের কয়েকটি কোষের খোসা ফেলে থেঁতো করে নিন। নারকেল তেল ও রসুন থেঁতো কিছুক্ষণ চুলায় গরম করুন। এটি ঠাণ্ডা হলে সারা মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে নেবেন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এটি করুন।
মেহেদি : মেহেদি চুলের পোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মজবুত করে। মেহেদি ও অন্যান্য উপাদান একসাথে একটি ভালো হেয়ার প্যাক তৈরি হয়।
২৫০ গ্রাম সরিষার তেলে ৬০ গ্রাম মেহেদির শুকনা পাতা দিয়ে তেল ভালো করে গরম করে ছেঁকে নিন। এই তেল নিয়মিত চুলের গোড়ায় ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এই তেলটি কাচের বোতলে ভরে রাখতে পারেন। আধাকাপ মেহেদি পাউডারের সাথে ১০০ গ্রাম টকদই মিশিয়ে সেটি মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। নানা রকম উপাদানের সাথে মেহেদি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
আমলকী ও শিকাকাই : আমলকী, শিকাকাই চুলের যতেœ ঔষধি হিসেবে কাজ করে। কাঁচা আমলকীর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। আধাকাপ মেহেদি বাটা, একটা ডিম, ১০০ গ্রাম টকদই, এক চামচ আমলকী, এক চামচ শিকাকাই মিশিয়ে সেটি মাথায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ডিম : ডিমের সাদা অংশের সাথে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় এবং চুলে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। দুই টেবিল চামচ মেহেদি বাটা, একটি ডিম, দুই টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। সব ধরনের চুলের যত্নে একটি ডিম ও দুই টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে চুলে দিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ডিম চুলের যত্নে ব্যবহার করা উচিত।
ফুল ও লতাপাতা : অনেকের চুল লাল হয়ে যায়। নারকেল তেলের মধ্যে কয়েকটি জবা ফুল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার ছেঁকে একটি বোতলে ভরে রাখুন। এই তেল ব্যবহারে চুল ঘন কালো ও মজবুত হবে। গাঁদা ফুলের ব্যবহারও ভীষণ উপকারী। চার-পাঁচটি শুকনো গাঁদা ফুল তিন কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। পরে ছেঁকে নিয়ে এটি চুলে ব্যবহার করুন। চুলের গোড়া শক্ত হওয়ার সাথে সাথে চুল খুশকিমুক্ত হবে।
কালোকেসুতি পাতা ও থানকুনি পাতা বাটা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় দিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। সবুজ কচি ঘাস ধুয়ে শুকিয়ে নারকেল তেলে দিয়ে এক মাস রোদে রেখে সেই তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে। মেথি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। এটি মাসে একবার করতে পারেন। নিয়মিত চুলে হেনা ট্রিটমেন্ট ও অয়েল ম্যাসাজ করুন। চুলের যত্নের সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি, প্রোটিন-জাতীয় খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল খান। এতে আপনার চুল সুন্দর থাকবে।
0 Comments