নিশিন্দা এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন

বৈজ্ঞানিক নামঃ Vitex negundo Linn. পরিবারঃ Verbenaceae. ইংরেজি নামঃ Chaste Tree
নিশিন্দা বড় আকারের গুল্ম। ৩-৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। ঘন শাখা-প্রশাখা থাকে। ২-৫ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা বৃন্তবিশিষ্ট যৌগিক পত্রের ৩/৫টি পত্র থাকে। পত্রকগুলি অসমান ও বর্ষাকৃতির। ফুল নীভাভ ও বেগুনি। পেনিকল ৩০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। ফল ছোট ডিম্বাকৃতির ও ড্রপ।
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই গাছের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
১। নিশিন্দার পাতাপরজীবী নাশক এবং এর যক্ষ্মা ও ক্যান্সারবিরোধী গুণ রয়েছে।
২। পাতা গরম করে যে কোনো ফোলার উপর বা মচকানোর ব্যথা ও প্রদাহ স্থানে রেখে গরম কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়ে দিনে ৪/৫ বার বদলাবেন। এতে দুএকদিনের মধ্যে ফোলা কমে যাবে। দেহের যে কোনো স্থানের টিউমারে নিশিন্দার পাতা বেটে গরম করে প্রতিদিন লাগালে কয়েকদিনের মধ্যে টিউমার অদৃশ্য হয়ে যাবে
৩। পাতার রস বা পাতা বেটে সরিষার তেলে পাক করে সে তেল ২/১ ফোঁটা কানে দিলে কানের রোগ আরোগ্য হয়। কানের সব ধরনের ব্যথার ক্ষতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
৪। পাতা চূর্ণ সিকি গ্রাম পরিমাণ খেলে (পূর্ণবয়স্কদের জন্য) গুঁড়া কৃমির উপদ্রব কমে যায়)
৫। নিশিন্দা গেঁটে বাত সারায় (Ghani, 2003); গেঁটে বাত (Gout) রোগে নিশিনাদার পাঁচন মোক্ষম ঔষুধ। সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, তবুও এতে সুফল পাওয়া যায়। ৫ গ্রাম পরিমাণ পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে সে পানি খেতে হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খাওয়া ঠিক নয়।
৬। মুখে বা জিহ্বায় ঘা কিুছুতেই কমছে না, এক্ষেত্রে নিশিন্দার পাতার রস দিয়ে জ্বাল দেওয়া ঘি দিনে ও রাতে দুইবার লাগালে সুফল পাওয়া যায়।
৭। নিশিন্দার পাতার রসে জ্বাল দেওয়া তেল ব্যবহারে টাক পড়া বন্ধ হয় এবং খুশকিও দূর হয়।
৮। বৃদ্ধ বয়সে রাতে প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হয় । অনেকের ২/৩ বার প্রস্রাব করতে হয় তখন ২/৩ রতি পরিমাণ নিশিন্দার পাতা চুর্ণ পানিসহ বিকালের দিকে একবার খেলে কয়েকদিনেই উপকার পাবেন। প্রয়োজনবোধে ২ বারও খাওয়া যায়।
৯। ৬/৭ বছর এমনকি আরো বেশি বয়সেও অনেকে রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে। এক্ষেত্রে ২ গ্রাম পরিমাণ নিশিন্দ পাতার গুঁড়া বিকালে পানি দিয়ে খাওয়ালে ৪/৫ দিনের মধ্যে উপকার পাওয়া যায়, যদি ৫/৭ দিন ব্যবহারেও না কমে তবে সকাল -বিকাল ২ বার খাওয়াবেন। এটি ব্যবহারের কোনো পাশর্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
১০। হঠাৎ কোনো কারণে মস্তিস্কের স্মৃতিকেন্দ্রটির কাজ বন্ধ হয়ে গেলে বা স্মৃতিভ্রম হলে রোজ ২টি নিশিন্দা পাতা ঘিয়ে ভেজে খেলে স্মৃতিশক্তি ফিরে আসবে।
১১। পাতার জলীয় নির্যাস জ্বর নিবারক হিসেবে কাজ করে। বমি ও অতিরিক্ত তৃষ্ণা সমন্বিত জ্বরের চিকিৎসায় এর ফুল ব্যবহার হয়, মূলও জ্বর নিবারক হিসেবে কাজ করে। (Ghani,2003)
১২। অনিয়মিত ও স্বল্প ঋতুস্রাবে ফলের নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
১৩। জামাকাপড় ও বই পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য নিশিন্দার শুকনো পাতা ব্যবহার করা যায়। ধূপের সাথে এর শুকনো পাতা ব্যবহার করলে মশা দূর হয়।
১৪। যে কোনা গলা ব্যথায় নিশিন্দার পাতা সিদ্ধ পানিতে গরম অবস্থায় ১৫০ থেকে ২০০ মিগ্রা. ফিটকিরি মিশিয়ে ৫/৭ মিনিট মুখে রেখে কুলি (Gargle) করলে গলা ব্যথা কমে যায়
১৫। তিল তেলের সাথ দ্বিগুণ পরিমাণ নিশিন্দার পাতার রস জ্বাল দিয়ে লাগালে চুলানি কমে যায়।
১৬। নিশিন্দার মূল মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায় (Chevaller, 1996),
নিশিন্দা কাঠ ধূসর ও সাদা এবঙ শক্ত, ওজন ৬৭৩ কেজি/গনমিটার। নির্মাণ কাজ ও জ্বালনি হিসেবে ব্যবহার হয়। ছাই থেকে রং তৈরি হয়।
পরিচিতি:
নিশিন্দা বড় আকারের গুল্ম। ৩-৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। ঘন শাখা-প্রশাখা থাকে। ২-৫ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা বৃন্তবিশিষ্ট যৌগিক পত্রের ৩/৫টি পত্র থাকে। পত্রকগুলি অসমান ও বর্ষাকৃতির। ফুল নীভাভ ও বেগুনি। পেনিকল ৩০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। ফল ছোট ডিম্বাকৃতির ও ড্রপ।
বিস্তৃতি:
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই গাছের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
ঔষধি গুণ:
১। নিশিন্দার পাতাপরজীবী নাশক এবং এর যক্ষ্মা ও ক্যান্সারবিরোধী গুণ রয়েছে।
২। পাতা গরম করে যে কোনো ফোলার উপর বা মচকানোর ব্যথা ও প্রদাহ স্থানে রেখে গরম কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়ে দিনে ৪/৫ বার বদলাবেন। এতে দুএকদিনের মধ্যে ফোলা কমে যাবে। দেহের যে কোনো স্থানের টিউমারে নিশিন্দার পাতা বেটে গরম করে প্রতিদিন লাগালে কয়েকদিনের মধ্যে টিউমার অদৃশ্য হয়ে যাবে
৩। পাতার রস বা পাতা বেটে সরিষার তেলে পাক করে সে তেল ২/১ ফোঁটা কানে দিলে কানের রোগ আরোগ্য হয়। কানের সব ধরনের ব্যথার ক্ষতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
৪। পাতা চূর্ণ সিকি গ্রাম পরিমাণ খেলে (পূর্ণবয়স্কদের জন্য) গুঁড়া কৃমির উপদ্রব কমে যায়)
৫। নিশিন্দা গেঁটে বাত সারায় (Ghani, 2003); গেঁটে বাত (Gout) রোগে নিশিনাদার পাঁচন মোক্ষম ঔষুধ। সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, তবুও এতে সুফল পাওয়া যায়। ৫ গ্রাম পরিমাণ পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে সে পানি খেতে হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খাওয়া ঠিক নয়।
৬। মুখে বা জিহ্বায় ঘা কিুছুতেই কমছে না, এক্ষেত্রে নিশিন্দার পাতার রস দিয়ে জ্বাল দেওয়া ঘি দিনে ও রাতে দুইবার লাগালে সুফল পাওয়া যায়।
৭। নিশিন্দার পাতার রসে জ্বাল দেওয়া তেল ব্যবহারে টাক পড়া বন্ধ হয় এবং খুশকিও দূর হয়।
৮। বৃদ্ধ বয়সে রাতে প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হয় । অনেকের ২/৩ বার প্রস্রাব করতে হয় তখন ২/৩ রতি পরিমাণ নিশিন্দার পাতা চুর্ণ পানিসহ বিকালের দিকে একবার খেলে কয়েকদিনেই উপকার পাবেন। প্রয়োজনবোধে ২ বারও খাওয়া যায়।
৯। ৬/৭ বছর এমনকি আরো বেশি বয়সেও অনেকে রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে। এক্ষেত্রে ২ গ্রাম পরিমাণ নিশিন্দ পাতার গুঁড়া বিকালে পানি দিয়ে খাওয়ালে ৪/৫ দিনের মধ্যে উপকার পাওয়া যায়, যদি ৫/৭ দিন ব্যবহারেও না কমে তবে সকাল -বিকাল ২ বার খাওয়াবেন। এটি ব্যবহারের কোনো পাশর্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
১০। হঠাৎ কোনো কারণে মস্তিস্কের স্মৃতিকেন্দ্রটির কাজ বন্ধ হয়ে গেলে বা স্মৃতিভ্রম হলে রোজ ২টি নিশিন্দা পাতা ঘিয়ে ভেজে খেলে স্মৃতিশক্তি ফিরে আসবে।
১১। পাতার জলীয় নির্যাস জ্বর নিবারক হিসেবে কাজ করে। বমি ও অতিরিক্ত তৃষ্ণা সমন্বিত জ্বরের চিকিৎসায় এর ফুল ব্যবহার হয়, মূলও জ্বর নিবারক হিসেবে কাজ করে। (Ghani,2003)
১২। অনিয়মিত ও স্বল্প ঋতুস্রাবে ফলের নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
১৩। জামাকাপড় ও বই পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য নিশিন্দার শুকনো পাতা ব্যবহার করা যায়। ধূপের সাথে এর শুকনো পাতা ব্যবহার করলে মশা দূর হয়।
১৪। যে কোনা গলা ব্যথায় নিশিন্দার পাতা সিদ্ধ পানিতে গরম অবস্থায় ১৫০ থেকে ২০০ মিগ্রা. ফিটকিরি মিশিয়ে ৫/৭ মিনিট মুখে রেখে কুলি (Gargle) করলে গলা ব্যথা কমে যায়
১৫। তিল তেলের সাথ দ্বিগুণ পরিমাণ নিশিন্দার পাতার রস জ্বাল দিয়ে লাগালে চুলানি কমে যায়।
১৬। নিশিন্দার মূল মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায় (Chevaller, 1996),
অন্যান্য ব্যবহার:
নিশিন্দা কাঠ ধূসর ও সাদা এবঙ শক্ত, ওজন ৬৭৩ কেজি/গনমিটার। নির্মাণ কাজ ও জ্বালনি হিসেবে ব্যবহার হয়। ছাই থেকে রং তৈরি হয়।
0 Comments