লকডাউনে টিওশন বন্ধ হয়ে যাওয়াই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল টেট পাস করে চাকরী না পাওয়া যুবক
Sabir Ali -ছেলেটি পাশ করেছিল ২০১৫ প্রাইমারি টেট ৷ সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের আর পাঁচজনের মতো ওরও স্বপ্ন ছিল একটা চাকরি ৷ আর্থিক অনটনের মাঝেই ২০১৬-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ডি এল এড করে ৷ তারপর যখন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পায় ধাপে ধাপে টেট পাশদের নিয়োগ করা হবে একবুক আশা বেঁধে শুরু হয় স্বপ্ন দেখা ৷ বিশ্বাস করুন আমাদের কাছে যখন ওর স্বপ্নগুলো বলতো বাবা মার কথা নতুন সমাজ গড়ার কথা ভালো লাগতো, খুব মিশুক ও হাসিখুশি ছিল ৷
কিন্তু আশ্বাসের মাঝেও হয়তো ভুলে গিয়েছিলো আশ্বাস থেকে প্রাপ্তির রাস্তায় টিউশন পড়ানোর টাকা ইনকামও বন্ধ হবে একদিন, আধপেটা খেয়ে বুড়ো বাবা মায়ের শুকনো মুখ প্রত্যেকদিন দেখতে হবে ৷ অবশেষে পারলো না এই মানসিক চাপ নিতে, আত্মহত্যার রাস্তায় ওর কাছে একমাত্র রাস্তা হলো ৷ আমরা এমন একজন বন্ধুকে হারালাম যে বাচ্ছাদের নিয়ে নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলো ।
সমস্ত শিক্ষিত সমাজ ও রাজ্যের শিক্ষার অভিভাবকের কাছে আমাদের প্রশ্ন ওর মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? আর কতো অবহেলা করবেন টেট পাশ ২০১৬-২০১৮ দের, আর কতো জীবনের বলি দিতে হবে আমাদেরকে? বিশ্বাস করুন আমাদের বন্ধুর বাবা মার কাছে কিভাবে দাঁড়াবো কিভাবে বলবো শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখাই ওর ভুল সেটা আমাদের অজানা ৷
এই নিয়ে আমরা আমাদের দুজন বন্ধুকে হারালাম আগে বাঁকুড়ার সুভাষ বাগদি আর এখন পশ্চিম মেদিনীপুরের অনুপ কুমার মাইতি ৷
সমস্ত শিক্ষিত সমাজ ও রাজ্যের শিক্ষার অভিভাবকের কাছে আমাদের প্রশ্ন ওর মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? আর কতো অবহেলা করবেন টেট পাশ ২০১৬-২০১৮ দের, আর কতো জীবনের বলি দিতে হবে আমাদেরকে? বিশ্বাস করুন আমাদের বন্ধুর বাবা মার কাছে কিভাবে দাঁড়াবো কিভাবে বলবো শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখাই ওর ভুল সেটা আমাদের অজানা ৷
এই নিয়ে আমরা আমাদের দুজন বন্ধুকে হারালাম আগে বাঁকুড়ার সুভাষ বাগদি আর এখন পশ্চিম মেদিনীপুরের অনুপ কুমার মাইতি ৷
এভাবে আর কতদিন প্রশ্নটা রাখছি শিক্ষিত সমাজের কাছে ৷🙏🙏🙏
0 Comments